বাংলাদেশ এ কিভাবে প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল মামলা করবেন 2022 এ

Jun 13, 2022Uncategorized0 comments

একটি প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল হল একটি সালিসী ট্রাইব্যুনাল যা একটি প্রজাতন্ত্র বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা থেকে উদ্ভূত বিরোধ নিষ্পত্তি বা বিচার করে। বেতন-ভাতা, চাকরির মেয়াদ বা বাসস্থান ব্যতীত অন্য যেকোন বিষয় সরকারি বা আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।সরকার তার কর্মচারীদের জন্য ভাতা এবং পেনশন সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একটি প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। তাই প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে এ সকল বিষয়ের নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। বিভিন্ন দেশে, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালগুলি বিভিন্ন নামে পরিচিত।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, আন্তঃরাজ্য বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে। এগুলি হল আন্তঃরাষ্ট্রীয় বাণিজ্য কমিশন এবং ফেডারেল ট্রেড কমিশন। সেজন্য কাউন্সিল অফ স্টেট সিস্টেম চালু আছে। ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতীয় উপমহাদেশেও প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়েছিল। 1947 সালের ক্রাউন প্রসিডিংস অ্যাক্ট দ্বারা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল তৈরি করা হয়েছিল।

সরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মে নিযুক্ত সকল কর্মচারী ও সংবিধিবদ্ধ সরকারি সংস্থায় যারা কর্মে নিযুক্ত আছেন তাদের চাকরির মেয়াদ, শর্তাবলি, সরকারি বাসা, বেতন-ভাতা,ও পেনশন সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিষ্পত্তির জন্য প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারবে।

কে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারবে না

বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থায় নিযুক্ত কোন ব্যক্তি এবং বর্ডার বাংলাদেশে নিযুক্ত কোন ব্যক্তি প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারবে না। 

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী

প্রজাতন্ত্রের কর্মে বা কোন সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের কর্মে নিযুক্ত সরকারী কর্মচারী এবং এর মধ্যে এমন কোনও ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যিনি অবসরপ্রাপ্ত বা অবসরপ্রাপ্ত, বরখাস্ত, অপসারণ বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত, বা এইরকম চাকরি থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত, তবে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগে এবং বর্ডার বাংলাদেশে নিযুক্ত কোনও ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করেন না।

প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের এখ্তিয়ার

ক) প্রজাতন্ত্রের বা বিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের কর্মে নিযুক্ত যে কোন ব্যক্তির পেনশনের অধিকার সহ তার কর্মের শর্তাবলি বা প্রজাতন্ত্রের বা বিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের কর্মে নিযুক্ত ব্যক্তি হিসাবে তৎসম্পর্কে গৃহীত কোন ব্যবস্থার উপর পেশকৃত আবেদনের শুনানি গ্ৰহন ও নিস্পত্তির জন্য এই ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার থাকবে।

খ) প্রজাতন্ত্রের বা বিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের কর্মে নিযুক্ত যে কোন ব্যক্তির পেনশনের অধিকার সহ তার কর্মের শর্তাবলি বা প্রজাতন্ত্রের বা বিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের কর্মে নিযুক্ত ব্যক্তি হিসাবে সেসম্পকে গৃহীত কোন ব্যবস্থার দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্ষুদ্ধ হলে এই ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করতে পারবেন।

গ) প্রজাতন্ত্রের বা বিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের কর্মের শর্তাবলী কিংবা উক্ত কর্মের শৃঙ্খলা সম্পর্কে আপাতত বলবৎ কোন আইনের অধীনে উচ্চতর প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের যে আদেশ, সিদ্ধান্ত  বা কোন ব্যাবস্থা বাতিল, রদবদল কিংবা সংশোধন করতে পারেন তাহার উপরে  উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কোন সিদ্ধান্ত  গ্রহন না করা পর্যন্ত প্রসাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা যাবে না।

প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়েরের সময়সীমা

কর্তৃপক্ষের আদেশ, সিদ্ধান্ত বা কোন ব্যাবস্থা গ্রহন বা প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনের তারিখ হয়তে ৬ মাস এর ভিতরে পেশ করা না হলে প্রসাসনিক ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মামলা গৃহিত হয়বে না ।

ট্রাইব্যুনালে আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য

একটি ট্রাইব্যুনালে প্রতিটি আবেদন লিখিত হতে হবে। একটি আবেদনে নিম্নলিখিত বিবরণগুলি থাকতে হবে : যথা-

১। যে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করবেন সেই ট্রাইব্যুনালে নাম।

২। আবেদনকারীর নাম, বিবরণ এবং ঠিকানা।

৩। বিবাদী পক্ষের নাম, বিবরণ এবং ঠিকানা।

৪। কোন ঘটনাটির কার্য কারনে মামলা দায়ের করা হবে তার বর্ননা ।

৫।যে কারণে আবেদনটি ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার রয়েছে তার বর্ননা ।

৬।আবেদনকারী দাবি ।

৭।আবেদনকারী নির্ভর করতে ইচ্ছুক যে কোনও বিষয়।

৮। আবেদনটি আবেদনকারীর স্বাক্ষর সহ আবেদনের সাথে সংযুক্ত ২০ (বিশ) টাকার কোর্ট ফি দিতে হবে। 

প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে আবেদন করার পর পরবর্তী প্রক্রিয়া

১ম ধাপঃবিবাদী পক্ষকে নোটিশ প্রদান

ট্রাইব্যুনালে আবেদন করার পরে ট্রাইব্যুনাল বিবাদী পক্ষকে একটি লিখিত জবাব দাখিলের জন্য একটি নোটিশ প্রদান করবেন। লিখিত বিবৃতিটির একটি অনুলিপি নিবন্ধিত পোস্টের মাধ্যমে আবেদনকারীর কাছে প্রেরণ করা হবে।

২য় ধাপঃআবেদন নিষ্পত্তি করার পদ্ধতি

বিবাদী পক্ষের লিখিত বিবৃতি জমা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত মেয়াদ শেষের পনের দিন পরে ট্রাইব্যুনাল আবেদন শুনানির জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করবেন। ট্রাইব্যুনাল শুনানির তারিখে ট্রাইব্যুনালে উভয় পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ উপস্থিত থাকতে হবে।

যেখানে শুনানির জন্য নির্ধারণ দিনটিতে উভয় পক্ষই উপস্থিত হবে না এবং নোটিশটি সঠিকভাবে জারি করা হয়েছে তখন ট্রাইব্যুনাল আবেদনটি খারিজ করতে পারেন। যদি আবেদনকারী উপস্থিত হয় তবে অন্য পক্ষ উপস্থিত না হয়, ট্রাইব্যুনাল আবেদনটি একতরফা নিতে পারবেন । অন্যদিকে, যদি বিবাদী পক্ষ উপস্থিত হয় তবে আবেদনকারী উপস্থিত না হন, ট্রাইব্যুনাল আবেদনটি খারিজ করে দিতে পারবেন।

৩য় ধাপঃ সিদ্ধান্ত

আবেদনটি শুনানি হওয়ার পরে ট্রাইব্যুনাল পরবর্তী তারিখে লিখিতভাবে তার সিদ্ধান্ত দেবেন।

প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল

এডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল আক্টে, ১৯৮০ একটি প্রশাসনিক আপীল ট্রাইব্যুনালেরও বিধান রাখা হয়েছে। সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত একজন চেয়ারম্যান ও অপর দুজন সদস্য নিয়ে আপীল ট্রাইব্যুনাল গঠিত হবে। নিয়োগের জন্য চেয়ারম্যান ও সদস্যদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কেও এ আইনে বলা হয়েছে। চেয়ারম্যান হবেন এমন এক ব্যক্তি যিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক বা বিচারক হওয়ার যোগ্য অথবা প্রজাতন্ত্রে কর্মরত এমন একজন কর্মকর্তা যার পদমর্যাদা সরকারের অতিরিক্ত সচিবের নিচে নয়। অপর দুজন সদস্যের মধ্যে একজন হবেন এমন ব্যক্তি যিনি প্রজাতন্ত্রের চাকুরিতে নিয়োজিত এবং যার পদমর্যাদা যুগ্মসচিবের নিচে নয়। অপর সদস্য হবেন একজন জেলা জজ। নিয়োগের শর্তাবলি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হবে। প্রশাসনিক আপীল ট্রাইব্যুনাল সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের এখ্তিয়ার

এডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল আক্টে, ১৯৮০ এর ৬ ধারায় বলা হয়েছে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের কোন আদেশ বা সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আপীল শুনানী এবং সিদ্ধান্ত প্রদানের বিষয় আপীল ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারভুক্ত। কোন ব্যক্তি প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত যেকোন আদেশ বা সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ হলে এ ধরনের আদেশ বা সিদ্ধান্ত বিরুদ্ধে আপীল দাখিল করার সুযোগ পাবেন। আপীল ট্রাইব্যুনাল প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের যেকোন আদেশ বা সিদ্ধান্ত বহাল রাখা, বাতিল, দ্বিমত পোষণ  অথবা পরিবর্তন করতে পারেন। আপীল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত আদেশই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। 

প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়েরের সময়সীমা

এডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল আক্টে, ১৯৮০ এর ৬ ধারায় বলা হয়েছে কোন ব্যক্তি প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত যেকোন আদেশ বা সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ হলে এ ধরনের আদেশ বা সিদ্ধান্ত দেওয়ার দিন থেকে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে আপীল দাখিল করার সুযোগ পাবেন।

আপিলকারী যদি প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালে এই মর্মে পরিতুষ্ট করতে পারেন যে, তিন মাসের মধ্যে আপীল দাখিল করতে না পারার যথেষ্ট কারন রহিয়াছে তাহলে তিন মাস সময়সীমা পার হয়ার পরেও আপিল করতে পারবে কিন্তু ছয় মাসের বেশি হবে না।

প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা  কার্যাদি

প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা এবং কার্যাদি নিম্নরূপ:

১। যে কোনও ব্যক্তির উপস্থিতি তলব করা ।

২।শপথের মাধ্যমে কোন ব্যক্তিকে পরীক্ষা করা।

৩। কোন নথি উদ্ঘাটন করা।

৪। প্রয়োজনীয় নথি হলফনামা সহ গ্রহন করা।

৫। সাক্ষী বা দলিলপত্র পরীক্ষা করার জন্য কমিশন প্রদান ।

৬। ট্রাইব্যুনালের সামনে যে কোনও কার্যক্রম বিচার বিভাগীয় কার্য বলে গণ্য হবে।

৭।প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের সদস্যদের মধ্যে কোনও মতপার্থক্য থাকলে, সংখ্যাগরিষ্ঠ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে

৮। একটি প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল সরকার যে স্থানে স্থাপন করার প্রয়োজন মনে করবে ঠিক তেমন স্থানে স্থাপন করতে পারবে।

৯। চেয়ারম্যান বা প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের অন্য কোনও সদস্য যদি কোনও শুনানির সময় অংশ নিতে না পারেন তবে অন্যান্য সদস্যদের সামনে শুনানি চলতে পারে।

১০। প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল অন্য কোন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে যে কোন পর্যায়ে যে কোন মামলা বদলী করার জন্য লিখিতভাবে আদেশ দিতে পারে।

১১। প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল বা প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের সদস্যরা ট্রাইব্যুনালের কার্য সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় বিবেচনায় এ সকল ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেন।

Bangladeshi Administrative Lawyers
In Bangladesh, there are a variety of lawyers. Administrative Lawyers must have extensive legal and practical knowledge of the Acts and Rules. If you are facing Administrative law issues, you can contact the following customs practice lawyer or law firm:
Tahmidur Rahman CLP
Huq & Co.
Amir and Amir Law Firm
Associates of Md Muzammel Hossen Fox Mandal (FM)
If you want to learn more about it, please visit: Customs Act of 1969 litigation procedure
Tahmidur Rahman CLP has a customs law practice.
Tahmidur CLP’s Barristers, Advocates, and Lawyers in Dhaka, Bangladesh are highly experienced in dealing with all types of Customs disputes in Bangladesh. Please contact us at tahmid.law@gmail.com if you have any questions or need legal assistance. Phone: +01727983838

Related

Latest News

Civil and Criminal Penalties under Customs Act (শুল্ক আইন) in Bangladesh- in 2022

Civil and Criminal Penalties under Customs Act (শুল্ক আইন) in Bangladesh- in 2022

এই আর্টিকেলটি শুল্ক আইনের অধীনে দেওয়ানী এবং ফৌজদারি দণ্ডের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ। বাংলাদেশ কাস্টমস হাউসের মধ্য দিয়ে পণ্যগুলি যাওয়ার সময় একজন ব্যক্তি দেওয়ানি এবং ফৌজদারি দণ্ডের সম্মুখীন হতে পারেন।শুল্ক আইনের অধীনে অপরাধ ও দণ্ডএকবার একটি অপরাধ সংঘটিত হলে, S.156...

Ensuring Your Future From Today

Ensuring Your Future From Today

Praesent vestibulum risus ut augue accumsan, sed molestie ante rutrum. Etiam aliquam quam. Quisque imperdiet egestas sodales. Proin vehicula, tortor vel dignissim congue, ipsum lectus finibus, risus sed tincidunt commodo, nisi dolor tincidunt quam, nec pulvinar odio...

0 Comments

Submit a Comment

Your email address will not be published.

Presets Color

Primary
Secondary