দেওয়ানী প্রশ্নর নিরসনের ধাপগুলি না জানার কারণে বিভিন্ন প্রকারের হয়রা হয়। তাই দেওয়ানি মামলার ভিত্তির ধাপসমূহ অত্যাধিক জানা দরকার। আবার কাজ ভুলবসতনী ওফৌজদারীকে দেওয়া আলোচনার প্রক্রিয়া একই মনে করে। কিন্তু দেওয়ানী প্রশ্ন ফাওজদারী প্রশ্ন ও পদ্ধতির ভিন্নতা। ১৯০৮ তিনটি প্রশ্ন দেওয়া কার্যনিধি কার্যবিধির ৯ ধারা অনুযায়ী দেওয়া প্রকৃতির ব্যাখ্যা বলতে ঐ বলনী প্রশ্নকে প্রশ্ন যখন প্রধান বা পদের অধিকার সংক্রান্ত। দেওয়ানী গণনার বিচার প্রক্রিয়া কার্যকর হয় ১৯০৮ আইনের ১৫ টি ধারা ও ৫১ টি আদেশের মাধ্যমে। দেওয়ানী ভিত্তির ধাপে নিচে আলোচোনা করা।
দেওয়ানী মামলার বিভিন্ন ধাপ সমূহ
মামলা দায়ের করুন
দেওয়ানী প্রশ্নর প্রক্রিয়া শুরু হয় এখতিয়ারভুক্ত আদালতের সেরেস্তাদারের সামনে আরজি দাখিল মাধ্যমে। আরজীর সাথে যোগ করা সকল চিঠিপত্র দাখিল করতে হবে। এর সাথে ডাক টিকেট সমন-নোটিশ ও সমাধান ফিখি দাল করতে হবে। সংক্ষেপে গণনামাঙ্ক ফাইলিং হলে সেরেস্তাদার রিপোর্টিং ফাইলিং রেস্ট্রারে কোডার পার্টির নাম, সমর ধরন, প্রশ্নর কোড ইত্যাদি লিপিবদ্ধ করবে।
সমন ইস্যু
বলবেন যেভাবে প্রশ্ন করা হলে সবাইকে বিবাদীর উপর সমন্বিত করবে। আদালত থেকে সকল বিবাদীর সমন্বিত দেশকে তার বিরুদ্ধে একটি প্রশ্ন উল্লিখিত করা হয়েছে তাকে অবহিত করা, তার বিরুদ্ধে আদালতে বিচারক হাজিরা দিতে এবং তার স্বপক্ষে সম্পর্কে দাখিল করার জন্য। আদালত থেকে সমন্বিত জারীকারক নিজে সমন্বিত একটি কপি বিবাদীকে প্রদান করবেন এবং একটি সমন্বিত বিপরীত প্রতিক্রিয়া যা সমনজারী হয়েছে ভিন্ন ভিন্নভাবে বিবাদীর সমন জারি করতে পারে।
লিখিত জবাব দাখিল
বিবাদীর সমন্বিতভাবে জারি করা হলে সমনে উল্লেখিত পরীক্ষায় উপস্থিত বিবাদী তার স্বপক্ষে দাখিল দাখিল করবেন। ১৯০৮ বার দেওয়ানী কার্যবিধির, আদেশ -৮, নিয়ম-১ অনুযায়ী বিবাদীর প্রতিকূরীতি তা না হলে প্রশ্নটি একতরফা শুনানীর জন্য চালু হবে। বিবাদী যদি পূর্ববর্তী সময়ে ব্যক্তি দাখিল করতে না পারেন তাহলে বিবাদী তার লিখিত অধিকার দাখিল করার জন্য আদালতে জিজ্ঞাস আবেদন করতে পারবেন। বিবাদী যন্তিলিত প্রশ্নে তার দাবীর সমর্থনে কোন দলিলাদির উপর ভিত্তি করে, তবে তা ফিরিস্তি সহকারে দলিলাদিতে ঐ ব্যক্তির সাথে আদালতে দাখিল করবেন।
একতরফা শুনানী
কোন বিবাদী যদি আমার জিনিষের ভিতরে লিখতে না পারেন বা আদালতে উপস্থিত হন তাহলে উত্তরে প্রশ্ন একতরফা শুনবেন। পরবর্তী আদালতে একতরফা সাক্ষ্য পালনে লড়াইয়ের বিষয়ে বিবাদী দাবীর দাবী নেই মর্মে ধরে নিয়ে মোকদ্দমাটি একতরফাভাবে নিষ্পত্তি করবেন। যযদিবিবাদী ব্যক্তি দাখিল যদি প্রশ্ন করেন তবে বর্ণনা করেছেন বর্নিত পদে অগ্রসর হবে।
বিকল্পভাবে বিরোধ নিষ্পত্তি (ADR):
বিবাদী তার স্বামী দাখিল পরের পক্ষের আইনজীবী আদালতে উপস্থিত থাকেন তাহলে আদালতে মামালার শুনানি মুলতবী করে ১৯০৮ সালে দেওয়ানীর কার্যবিধির ৮৯ বা ৮৯খ ধারার সদস্যদের মধ্যে বিরোধিতাকারীর জন্য বিচারক বাহিরে মধ্যতার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করবেন।
ইস্যু বা বিচার্য বিষয় নির্ধারন
উভয় পক্ষের আদালতের বাহিরে মধ্যতার মাধ্যমে তাদের বিরোধিতা করতে ব্যর্থ হন তাহলে উত্তরের পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে। ইস্যু গঠন বা বির্চার বিষয় কোন বিষয়ের উপর মোকদ্দমাটি বিচার তা নির্ধারন করা হবে। ১৯০৮- আইএস দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ, নিয়ম-১ অনুযায়ী প্রশ্নর প্রথম তারিখ শুনলে বা ব্যক্তিগত দাখিলের মধ্যে যে পরবর্তী সক্রিয় থেকে ১৫ এর মধ্যে গঠন করতে হবে।
৩০ ধারায় পদক্ষেপ
আদালত যে কোন সময় স্বতঃ প্রবৃত্ত হওয়া অথবা কোন পক্ষের আবেদনের জন্য অনুরোধ- প্রশ্নাবলী প্রদান ও বিষয়ে তথ্যদান , দলিল ও গ্রহন এবং সাক্ষ্য হিসাবে দাখিল যোগ্য দলিল বা অন্য কোন পথ দেখান, দেখান, বা ফেরৎ সম্পর্কে আদেশ দিতে পারেন। আমরা যার স্বাক্ষ্য প্রদর্শনের জন্য বা উপরোক্ত দলিলদির নির্দেশের জন্য তার উপস্থিতি প্রয়োজন তার প্রতি আদালতে সমন করতে পারেন এবং কোন হলফনামা যোগের আদেশ দিতে পারেন৷
চুড়ান্ত শুনানীর জন্য তারিখ নির্ধারণ ( এস ডি)
৩০ ধারার পদক্ষেপের পর উত্তর উত্তর কোলাকুলি চুড়ান্ত শোনার জন্য তারিখ জানাবেন৷ দেওয়ানী কার্যবিধি- ১৯০৮ আদেশ -১৪ বিধি ৮ অনুযায়ী গঠনের ১২০ ইস মধ্যে প্রশ্ন শুনানীর দিন ধার্য করা হয়। পার্টনারকে তাদের নিজস্ব ব্যবহার করে প্রকৃষ্ট করার জন্য সাক্ষীর দ্বারা যদি না থাকে তাহলে আদালতের সাক্ষীদের বলবেন।
চুড়ান্ত শুনানী (PH)
এই লিড ক্ষমতা জ পার্টির সাক্ষীদের বানবন্দী পিবদ্ধ করবেন। একপক্ষের সাক্ষীকে অপর পক্ষের পক্ষের পক্ষ থেকে আইনজীবী জেরা এবং নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আইনগত আইন প্রয়োগ করবেন। কোন প্রকারের দালিক সাক্ষ্য্য পার্টি প্রথম যেদিন চুড়ান্ত শুনানি শুরু করা হবে পারম্পটরি হেয়ারিং বা পিএইচ
অধিকতর শুনানী বা (FPH)
1908 সালের সিভিল প্রসিডিউর কোড- অর্ডার-18-এর 19 নং বিধি অনুযায়ী, চূড়ান্ত শুনানির তারিখ থেকে 120 দিনের মধ্যে মামলার শুনানি শেষ করতে হবে। আদালত প্রথম দিনেই মামলার সব সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করতে না পারলে তাকে এফপিএইচ বলা হয়।
যুক্তিতর্ক
মামলার শুনানি শেষে উভয় পক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বাদী-আসামিপক্ষের নিযুক্ত আইনজীবী আদালতে তাদের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন। মামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল বিষয় সংক্ষিপ্ত আকারে আদালতের সামনে উপস্থাপন করা হবে। যুক্তি অবশ্যই পরিষ্কার এবং বৈধ হতে হবে। যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করবে আদালত।
রায় ঘোষণ
সাধারণত যুক্তিতর্ক শুনানির পর আদালত একটি নির্দিষ্ট তারিখে মামলার রায় ঘোষণা করেন। সিভিল প্রসিডিউর কোড– অর্ডার-২০ অফ 1908-এর বিধি 1 অনুযায়ী, মামলার শুনানি শেষ হওয়ার 7 দিনের মধ্যে আদালত রায় ঘোষণা করবেন বলে বলা হয়েছে। রায়ে, পক্ষের জবানবন্দির সংক্ষিপ্ত বিষয়বস্তু, বাদী-বিবাদীর সাক্ষীদের পরীক্ষা, সাক্ষ্য বিশ্লেষণ, বিচারের বিষয়, সিদ্ধান্তের বিষয়ে যৌক্তিক আলোচনা, চূড়ান্ত আদেশ ইত্যাদি লিপিবদ্ধ করা হবে। ক্রমাগত পদ্ধতি
ডিক্রি প্রদান:
দেওয়ানী কার্যবিধি- 1908-এর আদেশ-20 বিধি-5(a) অনুযায়ী, আদালত রায় ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে ডিক্রি প্রস্তুত করবেন।
ডিক্রি জারী
কোড অফ সিভিল প্রসিডিউর- 1908-এর আদেশ-21 অনুসারে, কেউ ডিক্রি জারির জন্য আদালতে আবেদন করতে পারেন। আদালত কোনো মামলায় ডিক্রি পাশ করলে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিক্রি কার্যকর করার নির্দেশনা থাকলে, সেই অনুযায়ী, বিবাদী ডিক্রি কার্যকর না করলে, বাদী ডিক্রি জারি করার জন্য আদালতে আবেদন করতে পারেন।
রিভিউ
দেওয়ানী কার্যবিধির 114 ধারা- 1908 অনুসারে, যদি পক্ষগুলি মামলার বিচার চলাকালীন গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলি সম্পর্কে আদালতকে অবহিত করতে ব্যর্থ হয় বা যদি উল্লিখিত নথিগুলি মামলার রেকর্ডে থাকে তবে বিচারে প্রমাণিত না হয় ভুলবশত বা অন্য কোনো বৈধ কারণে ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত হলে, সংক্ষুব্ধ পক্ষ সেই আদালতে আবেদন করতে পারে যেটি আপনি পর্যালোচনার জন্য রায় দিয়েছেন।
রিভিশন
নিম্ন আদালতের রায়ে যে পক্ষ সংক্ষুব্ধ বা সংক্ষুব্ধ তারা দেওয়ানী কার্যবিধি-1908 এর ধারা 115 অনুযায়ী আইন দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন দাখিল করতে পারেন। রিভিশন আদালত শুনানি শেষে নিম্ন আদালতের রায় বহাল বা বাতিল করতে পারে।
আপীল
নিম্ন আদালতের রায়ে প্রশ্নর যে প্রশ্নটি সংক্ষিপ্ত করতে হবে বা ব্যাখ্যা করতে হবে সেই নেতাকে রায়ের উচ্চ আদালতে আইনের মাধ্যমে বিচারের মধ্যে দেওয়ানী কার্যবিধি- ১৯০৮ এর ধারা ৯৬ অনুযায়ী আপীল করতে পারেন। আপীল আদালত শুনানী অন্তে নিম্ন আদালতের রায় বহাল বা বাতিল করতে পারেন। বোঝাপড়া দেওয়ানী প্রশ্নর ধাপে এছাড়াও দেওয়ানী জবাবে প্রশ্ন সক্রিয় সময়ে সময়ে অংশগ্রহণের আবেদনের প্রেক্ষিতে উদাহরণের দরখাস্তের বিভিন্ন আবেদন করতে পারেন।