ঘোষণামূলক মামলা দেওয়ানী আদালতে প্রকাশে পরিমাপক সমালোচনামূলক প্রশ্ন করা হয়। এই ধরনের প্রশ্ন সম্পর্কে অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের কথাবার্তা নয়। আজকে আলোচনার মাধ্যমে ছোট ছোট করে আলোচনামূলক আলোচনার বিষয়গুলো পরিষ্কার করতে হবে।
ক. ঘোষণামূলক মামলা (Declaratory suit):
কোন আইনগত আইনগত অধিকার এবং স্বত্বের অধিকার যদি অন্য কেউ থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে বিরোধিতামূলক মন্তব্য করা যায়। তার মধ্যে কোন ব্যক্তি পর্যায়ক্রমিক অভিযোগ করে তার আইনগত চরিত্র বা চরিত্র বা চরিত্রের স্বত্ব নিতে পারে। আইনগত নাগরিক এবং আইনগত চরিত্রের সমর্থক শব্দ। উদাহরণ-আইনী বরখাস্ত আদেশের বিরুদ্ধে চাকুরীতে অধিকার আইনবেগতের অন্তর্ভুক্ত।
আবার মনে করেন, রোকেয়া বেগমকে এস.এস.সি.ভগ থেকে বেআইনী উপায়ে বহিষ্কার করা হয়েছে। হর রো এস এস। এখানে তার আইনগত আইনের প্রয়োগ করা হয়েছে। তাই সে বিতর্কমূলক প্রশ্ন করতে চাইলে। (Title) কথাটির সহজ অর্থ হল স্থাবর সম্পত্তির উপর কোন স্বাতন্ত্র্য।
উদাহরণ – সাদ মুশরিফাত ১২ শতাংশ মান বিন্যস্ত। এখন মীম যদি এই ১২ শতাংশ শতাংশ সাদমান মুশরিফাতের স্বত্ব (শিরোনাম) তাহলে সাদমান মুশরিফাত মীমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রতি আইনের ৪২ ধারা অনুযায়ী ১২ বছর স্বত্ত্বে সামাল দিতে হবে।
খ. ঘোষণামূলক মামলার প্রয়োজনীয়তা:
কোন আইনগত আইনগত নীতির জন্য বহিরাগত আলোচনার সমালোচনা রয়েছে। কোন ব্যক্তি কোন পদের অধিকারী এখন যদি অন্য কোন ব্যক্তি তাকে বেআইনীভাবে করে তাহলে একজন ব্যক্তি পরবর্তী উত্তরমূলক প্রশ্ন তার পদ থেকে ফিরে যেতে পারে। আপনি কোন অধিকারে বর্ণনার অধিকার নির্বিশেষ এবং নির্বিঘ্ন করার জন্য পরকীয়া সমালোচনামূলক আলোচনা রয়েছে।
মনে করুন, কামরুল হাসান কোন উত্তরাধিকার ও পালক। এখন সাজিদপন্থী কোন ব্যক্তি যদি সেই কথানা বর্ণনা করে কামরুলকে তার থেকে বেদখল করতে চান তাহলে কামরুল হাসান সাজির হাসান হাসানের হিসাবে বর্ণনার প্রতি বর্ণনার প্রতি বিরোধিতা করে সুনির্দিষ্ট আইনের আইনের ৪২ ধারা অনুযায়ী উত্তরোত্তর প্রশ্ন করতে সক্ষম।
গ. আদালতের বিবেচনামূলক ক্ষমতা:
আলোচনামূলক প্রশ্ন মঞ্জুর করা না করাকে জবাবদিহির ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা (বিবেচনামূলক ক্ষমতা) বিবেচনায় নেওয়া। আদালত তার সুবিচনামূলক সক্ষমতা ব্যবহার করে কোন বিষয় বহির্ভূত করতে আবার নাও করতে পারেন। তবে এই ক্ষমতা তার নিজের মতামতকে প্রয়োগ করতে না পারে। সংবাদ প্রকাশকে কিছু বোঝায়। সুনির্দিষ্ট প্রতি ২২ ধারা অনুযায়ী আদালতের সুবিবেচনামূলক কার্যকারিতা সুষম আইন, যুক্তিযুক্ত এবং বিচার কার্যাবলী মূলনীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে হবে।
ঘ. আনুষাঙ্গিক প্রতিকার (Consequential relief):
কোন প্রশ্ন মূল প্রতিকারের ফল অগত্যা প্রতিকারকে আনুষঙ্গিক প্রতিকার (পরিণামগত ত্রাণ) বলে। প্রধান কোন প্রতিকারগামী প্রতিকারের সহানুষঙ্গিক প্রতিকার। তার মধ্যে কোন প্রশ্নে মূল প্রতিকার ছাড়া অন্য সকল প্রতিকার চাওয়া হয় তাই অনুষঙ্গিক প্রতিকার। উদাহরণ-স্বত্ব উত্তর উত্তর উত্তর প্রশ্নয় স্বত্বের সাথে সাথে উদ্ধারের প্রার্থনাও করতে হবে।
এখানে স্বত্ব আছে এই মর্মে প্রস্থান চাওয়া মূল প্রতিকার। আরফা উদ্ধারের ঈশ্বর আনুষঙ্গিক প্রতিকার। তার মানবাদী যখন গর্দানে থাকবে না তখন বাদীকে আনুঙ্গিক প্রতিকার হিসেবে উদ্ধারের প্রার্থনাও করতে হবে। সুদীর্ঘ প্রতিকার আইনের ৪২ ধারায় স্বত্ব নির্ধারক প্রশ্নয় আনুঙ্গিক প্রতিকার প্রার্থনাকে কর্মতামূলক করা হয়েছে।
ঙ. অর্থ বিষয়ে ঘোষণামূলক মামলা:
অর্থের বিষয়ে কখনো কখনো আলোচনামূলক প্রশ্ন করা যায় না। অর্থের বিষয়ে প্রথম অর্থ মোকদ্দমা (মোনি স্যুট) অবশ্যই করতে হবে। টাকার বিনিময় প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট প্রতিকারের ৪২ ধারার আইনের অভিযোগ সুত্রে অভিযোগ করা হয় না। বদলি যদি বিবাদীর কাছে টাকা পাওয়ার অধিকারী হয় তাহলে ক্ষমতাী টাকা
চ. বিবাহ বিষয়ে ঘোষণামূলক মামলা:
বিবাহের বিষয়ে আলোচনামূলক করা যায়। বাদী বিবাদীকে বিবাহ করেছেন আধিকারিক এবং বিবাদী স্বামী এবং স্ত্রী এই মর্মের পরবর্তী প্রশ্নে প্রশ্ন করা যায়। রোমেল আফরিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে এই মর্মে রোমেল পরবর্তী আলোচনামূলক দেওয়ানি অভিযোগে অভিযোগ করতে অনুরোধ করছি। কারণ ইহা রোমেলের আইনগত চরিত্র-কে অনুভব করা। প্রশ্নকর্তা গণের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ করা হয়েছে এই মর্মেও পরবর্তী প্রশ্নে প্রশ্ন করা যায়।
ছ. বেনামী কারবার নিয়ে ঘোষণামূলক মামলা:
কোন বেনামীদার নিজেকে ব্যাখ্যা করে বলা উত্তরের আইনগত অধিকার লঙ্ঘিত হয়। তার জন্য ব্যাখ্যা করাবেনামদারকে হবেন উত্তরের জন্য পরবর্তী প্রশ্নমূলক প্রশ্ন করতে পারেন। তবে বেনামী কারবারটি ১৯৮৪ এপ্রিল ১৪ এপ্রিল পূর্বের হতে হবে। কারণ ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশ, 1984- ৫ ধারার মাধ্যমে সকল প্রকার বেনামী কারবার এর বাইরের বাইরে করা হয়।
৫ ধারায় বলা হয়েছে, “কোনো ব্যক্তি তার নিজের সুবিধার জন্য অন্য ব্যক্তির নামে কোনো স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করবে না।” তাই এই তারিখে বেনামীতে তার কোন আইনগত হতে পারে না। তার মধ্যে যে কুপ দলিল প্রকাশ ও রেজিস্ট্রেশন হবে সে ব্যক্তি ক্রয়কৃত জগতর ব্যাখ্যা বলে বিবেচিত হবে।
বেনামী কারবারটি যদি ১৯৮৪ তারিখে ১৪ এপ্রিলের আগে হয় সেক্ষেত্রে উত্তরোত্তর প্রশ্নটি করা হবে। ১৯৮৪ সালের এপ্রিলের পর থেকে আর কোন সুযোগ নেই। কারণ ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশ, 1984-এর ৫ ধারার বেনামী কারবার খোলার মাধ্যমে করা হয়েছে।
জ. ট্রেডমার্ক সম্পর্কে ঘোষণামূলক মামলা:
কোন কোন ট্রেডমার্ক নিরঙ্কুশভাবে ব্যবহারের অধিকার রয়েছে। কোন ব্যবসায়িক ট্রেডমার্ক ব্যবহারে হস্তক্ষেপ, তা তার আইনগত অধিকারে হস্তক্ষেপ বলে প্রত্যয়মান। তখন তিনি সুদিষ্ট প্রতিকার আইনের ৪২ ধারা বর্ণনামূলক প্রশ্ন প্রশ্ন করতে পারবেন।
ঝ. চাকুরী সংক্রান্ত ঘোষণামূলক মামলা:
সরকারী আইনের বিষয়ে আইনী সরকারী নেতার মনের মত এমন নয় এমন চাকুরীর সুদিষ্ট প্রতি ৪২ ধারার বর্ণনামূলক প্রশ্নে প্রশ্ন করা হয়। উদাহরণ- আধা সরকারী ছাত্রের শিক্ষক গণ তাদের চাকুরীর শর্তাবলীর বিষয়ে পরবর্তী প্রশ্নমূলক প্রশ্ন করতে পারেন। এখানে একটি কথা বলা প্রয়োজন বলে, ১৯৮০ একটি সরকারি ট্রাইক্যাল আইন কার্যকর করার পর থেকে এবং নিয়মনীতির চারকুরীর শর্তাবলীর প্রশ্নে কোন রাজনৈতিক ট্রাইব্যুনাল ছাড়া কোন আদালতে অনুমতি নিতে না পারা।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট, ১৯৮০-এর ৪ ধারায় সরকারী ও বিধিবিধানের অংশের চাকুরীর অবস্থা ও অবস্থা সম্পর্কে বিচার করার ক্ষমতাকে ক্ষমতায়ন ট্রাইব্যুনালকে প্রদান করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৯৮০ সালে রাজনৈতিক ট্রাইকাল আইন কার্যকরের পর সরকারী পুলিশ সদস্যদের চাকুরীর বিষয়ে প্রশ্নমূলক প্রশ্ন করা হবে না।
পরবর্তী সময়ে ১৯৮৪ সালে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (সংশোধনী) অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ – জারির বিধিবদ্ধ সরকারী ক্ষমতার মালিকের মাধ্যমে পুলিশ-অভিযুক্তদেরকেও পুলিশিক ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। তাই এখন সরকারী ও বিধিবদ্ধ ক্ষমতার চাকুরীতে নিয়োজিত কর্মকর্তা-অধিকর্তাদের চাকুরীকে অধিকার লঙ্ঘিত হলে রাজনৈতিক ট্রাইব্যুনালে সীমাবদ্ধতা করতে হবে।
ঞ. ধর্মীয় অধিকার সম্পর্কে ঘোষণামূলক মামলা:
ধর্মীয় কাজ করার অধিকার একটি আইনগত অধিকার। তাই কেউ যদি অধিকারে হস্তক্ষেপ করে তাহলে সুদিষ্ট প্রতিকার আইনের ৪২ ধারার ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নে প্রতিবাদ করা যায়। উত্তেজিত হওয়া হস্তক্ষেপ করা হতে পারে আলোচনার জন্য উত্তরমূলক প্রশ্ন করা। উদাহরণ- কোন প্রকার বিভক্তি ছাড়া কোন মসজিদে নামাজ পড়া নিয়মের আইনগত অধিকার।
মসজিদের কাছে কেউ বজনা বাজালে তা এই অধিকারে হস্তক্ষেপ বলে বিবেচিত হবে। ইহা হতে পারে খালেদাকে নিয়ে আলোচনার জন্য পরবর্তী আলোচনামূলক প্রশ্ন করা হবে। [এআইআর 1964 ওড়িশা 18] কোন মন্দিরের সেবাইতের অধিকার এবং এর সাথে সম্মান ও সুবিধাদির অধিকার আইনগত গণ্য হবে। দেওয়ানী আদালতে উত্তরমূলক আলোচনার মাধ্যমে এই অধিকার অর্জন করা যাবে।
ট. ঘোষণামূলক মামলার তামাদির মেয়াদ:
সাধারণত আলোচনামূলক ৬ বছরের মধ্যে করতে হয়। তামাদি আইনের ১২০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, উত্তরোত্তর প্রশ্ন দেবার কারণ উদ্ভব সময় হতে ৬ বছরের মধ্যে বিতর্কমূলক প্রশ্ন করতে হবে। কোন আনুষঙ্গিক প্রতিকারের প্রার্থনা করা যাবে না। আনুষঙ্গিকের চাওয়া হলে আনুষঙ্গিক প্রতি প্রকৃতির প্রকৃতি তামাদিকার অনুরোধের প্রতি এগিয়ে আসতে হবে। উদাহরণ – কোন ব্যক্তি বেদখল হতে হলে স্বত্ব বহিঃপ্রকাশ সহ খাস-দখলের ১২ বছরের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ঠ. ঘোষণামূলক মামলার কোর্ট ফি:
সাধারণভাবে প্রশ্নমূলক প্রশ্ন করতে হলে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা মূল্য ফি দিতে হবে। কিন্তু আনুকূল্য প্রতিকার সহ উত্তরমূলক সমালোচনামূলক প্রশ্ন করতে হলে মূল্যবান অধিকার প্রদান করতে হবে৷